Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

5 min read

 
শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

শর্করা জাতীয় খাবার কি কি

আজকের আলোচনাতে রয়েছে শর্করা জাতীয় খাবার গুলো কি কি সে সম্পর্কে। বিশ্বের সকল দেশেই শুভ অনুষ্ঠানে মিষ্টিমুখ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকে। বিয়ের অনুষ্ঠানে জন্মদিনে নানারকম ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মিষ্টিমুখ করা যেতে পারে। 

সবথেকে আনন্দ বিষয় হচ্ছে মিষ্টিটা আমরা তখনই যখনই আমাদের কোন কিছু আনন্দময় আবার অনেকে মুখরোচক খাবার হিসেবে বা ভাত খেতে মন চায় এরকম হলে তখন উনিশ তম জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো হলঃ চমচম, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা,  কালোজাম, ক্ষীরের মিষ্টি, ছানার মিষ্টি, বুরিন্দা, জিলাপি, কেক, ফিরনি, পায়েস, ফালুদা ইত্যাদি খাবারগুলো মিষ্টি এই খাবারগুলো আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা একটু আনন্দ থাকলে খেয়ে থাকি। 

আরো পড়ুনঃ ঠোট গোলাপী করার সহজ উপায়

আবার অনেকেই চকলেট আইসক্রিম খুবই পছন্দ করে থাকেন অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার মানব শরীরের জন্য মোটেও ঠিক না তাই অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন হালকা মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। তাই মিষ্টান্ন জাতীয় যে খাবারগুলো রয়েছে সেই খাবার গুলোতে থেকে এড়িয়ে চলুন।

এত ভরপুর মিষ্টি জাতীয় খাবারের থেকেও হালকা মিষ্টি জাতীয় খাবার রয়েছে সে খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্লক হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকারক। 

মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো ছাড়াও আমাদের প্রাকৃতিক খাবার থেকে প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীর মিষ্টি বাসর করা প্রভাব করে। আমাদের দৈনিক খাবারের মধ্যে শর্করা অন্যান্য শর্করা জাতীয় এনার্জি এতে রয়েছে ও গ্লুকোজ।

দ্রুত মিষ্টি খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে বাড়তি ওজন হয়ে যায় শরীরের চর্বি জমে যায় হার্টের সমস্যা হয় কিডনির সমস্যা হয় লিভারের সমস্যা হয় তাই পেটে সমস্যা হয় ইত্যাদি তাই অতিরিক্ত মিষ্টি খেতে যাবে না। শরীর সুস্থ রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো থেকে এড়িয়ে চলতে হবে এবং যদি খেতে মনে চায় তাহলে অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন নাখেলে আরো বেশি ভালো। 

সাধারণত দুই ধরণের শর্করার রয়েছে সরল ও জটিল। মধু, চিনি, পাস্তা ,, ফলের রস ইত্যাদি খাবারের সাধারণ বা সরল শর্করা পাওয়া যায় অপরদিকে শস্যদানা ভোর পাঁচটা রুটি মিষ্টি আলু ইত্যাদি। 

শর্করা জাতীয় খাবার গুলো কি কি জানেনঃ

 শর্করা জাতীয় খাবার গুলো হল যেমনঃ মিষ্টি ফল, মিষ্টি, মধু, চিনি, তিনি পায়েস,  খেজুর, কাটা, ফালুদা, আখের রস, খেজুর রস, আইসক্রিম, চকলেট, গুড় ইত্যাদি।,

দুধ ও  চকলেটঃ

ছোট-বড় অনেকেই রয়েছেন দুধ খেতে পছন্দ করে আবার অনেকেই রয়েছেন দুধ খেতে একদমই পছন্দ করেন না কিন্তু আপনি যদি আপনার শরীর সুস্থ ভালো রাখতে চান সে ক্ষেত্রে দুধ খেতেই হবে। আবার অনেকেই বিভিন্ন অজুহাতে দিয়ে দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন কিন্তু এসব কাজ আসলে ঠিক না আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য দুধ খেতে হবে আপনার শরীরকে খুব সুস্থ রাখবে। 

আবার অনেকেই রয়েছেন চকলেট খেতে খুবই পছন্দ করেন দুধ এড়িয়ে চলেন কিন্তু চকলেট খেতে চান এরকম লোক রয়েছে অনেক তাই আপনারা দুধের সঙ্গে চকলেট মিশিয়ে খেতে পারেন। দুধের সঙ্গে চকলেট মিশিয়ে খাওয়ার যে মিশ্রণটা বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে ।

আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নামের তালিকা

 কিন্তু আমরা যারা বড়রা রয়েছে তারা এই খাবারটা কি একদমই পছন্দ করব না কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অবশ্যই খাবার টা খেতে হবে।চকলেটের দুধ এমন দুধ জ্বাল দিয়ে স্বাস্থ্য যুক্ত চিনি দিয়ে মিষ্টি করা হয়েছে সেই চকলেট দুধ খেতে হবে। চকলেট দুধের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি। দুধের সমস্ত পুষ্টিকর গুণাবলী থাকা শর্তেও 8230 মিলিলিটার চকলেটের দুধের সাথে অতিরিক্ত 11.4 গ্রাম বা 2.9 চা চামচ চিনি রয়েছে।

 ফলের রসঃ

একটি ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ রয়েছে স্বাস্থ্যকর মনে হল ভিটামিন ও খনিজ প্রচুর পরিমাণে চিনি খুব অল্প পরিমাণে ফাইবার এ উপস্থিত থাকে। এক কাপ ফলের রস করতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ফল এর দরকার। কাইফ ফল খেলে আপনি যতটুকু চিনি গ্রহণ করতে চান তার চেয়েও অনেক বেশি চিনি গ্রহণ করবে এক গ্লাস ফলের রসে। এ পদ্ধতিতে আপনি প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ করে ফেলতে পারেন। ফলের রসের ঠিক কত পরিমাণে চিনি থাকতে পারে যতটা অবাক পেপসির মত চিনিযুক্ত পানিতে রয়েছে।

আইসক্রিমঃ

ছোট বড় সবাই আইসক্রিম খেতে খুব পছন্দ করেন আইসক্রিম মুখরোচক খাবার লোভনীয় শোভনীয় তাই আইসক্রিম খেতে পারেন। আইসক্রিম তৈরি হয় দুধ চকলেট ক্রিম উপকরণ গুলো দিয়ে আইসক্রিম তৈরি হয়।উপকরণ গুলো দিয়ে আইসক্রিম তৈরি হয় আইসক্রিম থেকে আমাদের শরীরে খুব দ্রুত মিষ্টি প্রবেশ করে ফেলে। মিষ্টি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক যা রোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

 তাই মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো কে এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জমে যাবে তাই শরীর সুস্থ রাখার জন্য ফ্ল্যাট থেকে মুক্তি রাখার জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো কি এড়িয়ে চলুন।

আইস টিঃ

আইস টি সাধারণত চিনি মিশিয়ে মিষ্টি করা হয় বা ফ্লাভারেড মিশিয়ে স্বাদযুক্ত করা হয়। এটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রূপ এবং স্বাদে জনপ্রিয়, তবে চিনির পরিমাণ প্রায় একই। বেশিরভাগ বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত আইস টিতে প্রতি ১২ আউন্স বা ৩৪০ মিলিলিটারে রয়েছে প্রায় ৩৫ গ্রাম চিনি, যা একটি কোকের বোতলের চিনির সমপরিমাণ।

প্যাকেটজাত স্যুপ

স্যুপ খুবই পুষ্টিকর ও উপকারী খাবার। মার্কেটে বিভিন্ন রকমের স্যুপ রয়েছে যেমন, ভেজিটেবল স্যুপ, চিকেন স্যুপ, থাই স্যুপ, এগ স্যুপ ইত্যাদি। আর এই স্যুপকে সুস্বাদু করার জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকমে সস, টেষ্টিং সল্ট, কর্ণফ্লাওয়ার, ক্রিম, চিনি ইত্যাদি। আর এইসব উপাদানে থাকে লুকানো শর্করা বা চিনি।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

শর্করার চাহিদাঃ

পুষ্টিবিদগণের মতে মানুষের দৈনিক ক্যালরি চাহিদার ৫৫-৬০% কার্বোহাইডেট জাতীয় খাদ্য হতে নেয়া প্রয়োজন। পরিশ্রমভেদে এর তারতম্য হতে পারে। সাধারণভাবে বলা যায় যে, প্রতি কিলোগ্রাম দেহওজনের জন্য ৪-৬ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। সে হিসেবে স্বাভাবিক ওজনের পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ন্যূনতম ৩০০ গ্রাম শর্করা জাতীয় খাদ্য আহার করা উচিত। যেহেতু ১ গ্রাম শর্করা হতে প্রায় ৪ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, তাই ৩০০ গ্রাম শর্করা হতে ১২০০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যাবে।

শর্করা উৎসঃ

 কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা প্রাণি এবং উদ্ভিদ উভয় ধরনের উৎস থেকেই পাওয়া যায়। উদ্ভিদ হতে প্রাপ্ত শর্করাগুলো হলো চিনি, মধু, মিষ্টি ফল (আম, আঙ্গুর, কলা, কাঠাল, খেজুর ইত্যাদি), আখের রস, গুড়, খেজুরের রস, চাল, গম, ভুট্টা, আলু, কচু ইত্যাদি। প্রাণি হতে প্রাপ্ত শর্করার ভালো উৎস হলো- দুধের শর্করা, প্রাণিদেহের যকৃত ও পেশিকোষের শর্করা

শর্করার প্রকারভেদঃ

গঠন অনুসারে শর্করা তিন প্রকার যথাঃ এক শর্করা (মনোস্যাকারাইড), দ্বি-শর্করা (ডাইস্যাকারাইড) ও বহু শর্করা (পলিস্যাকারাইড)।

 ১। এক শর্করাঃএক শর্করাগুলো হলো- গস্নুকোজ, ফ্রক্টোজ ও গ্যালাক্টোজ ক) গুকোজ-চিনি, মিষ্টি ফল ইত্যাদি খ) ফ্রুক্টোজ-মধু আঙ্গুর, বেদানা, আপেল, পাকা আম, পাকা কলা ইত্যাদি গ) গ্যালাক্টোজ-দুধের শর্করা ল্যাক্টোজ ভেঙ্গে গ্যালাক্টোজ ও গ্লুকোজ পাওয়া যায়।

 ২। দ্বি-শর্করাঃদ্বি-শর্করাগুলো হলো- সুক্রোজ, মলটোজ ও ল্যাক্টেজ ক) সুক্রোজ-আখের চিনি, গুড়, খেজুর রস খ) মলটোজ-চালের শর্করা (দু’টি গ্লুকোজের অণু একত্রে) গ) ল্যাক্টোজ-দুধের শর্করা। 

৩। বহু শর্করাঃ বহু শর্করাগুলো হলো- শে বতসার, গস্নাইকোজেন ও সেলুলোজক) শে বতসার- চাল, গম, আলু, কচু খ) সেলুলোজ- ফল ও শাক পাতার আঁশ, আঁশযুক্ত ফল, শস্যের খোসা গ) গ্লাইকোজেন- প্রাণিদেহের যকৃত ও পেশিতে পাওয়া যায়।

শর্করার কাজঃ

  •  ১। দেহের প্রয়োজনীয় তাপ উৎপন্ন করা
  • ২। শক্তি যোগান দেয়া 
  • ৩। প্রোট্রিনের অপচয় রোধ করা 
  • ৪। বিপাকীয় কাজে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা 
  • ৫। সেলুলোজ নামক আঁশযুক্ত শর্করা দেহের অপাচ্য পদার্থ বের করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সাহায্য করে।

শর্করার অভাব রয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন জেনে নিনঃ

  • মাথা ঘুরানো
  • ক্ষুধা  বেশি লাগা
  •  বমি ভাব
  • অতিরিক্ত ঘাম হওয়া
  •  ক্লান্তি অনুভব
  •  হার্টের সমস্যা ইত্যাদি।
  • রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণঃ
  • নিয়মিত রক্তের শর্করা পরীক্ষা করাতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম ও নিয়মিত শরীরচর্চা
  •  সঠিক সময়ে খাবার  খাওয়া
  •  কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা সকালের খাবার দুপুরে খেয়ে থাকেন এ অভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।


আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...